Author Archives: আসাদ বিন হাফিজ

২১. ধাপ্পাবাজ

২১. ধাপ্পাবাজ

রমলা থেকে কায়রো, অনেক দূরের পথ। যাত্রাপথও অনেক কঠিন ও কষ্টকর। পাথুরে পার্বত্য এলাকা, ধূসর বালির বিবর্ণ প্রান্তর, মাটির অসংখ্য উঁচু-নিচু ঢিবি এসব পার হয়ে যেতে হয় কায়রো। পার হতে হয় সুদীর্ঘ বিশাল উন্মুক্ত মরুভূমি।এই পথে অনেক বিপদ ও ভয় হঠাৎ করেই নেমে আসে যাত্রীদের জীবনে। কখনো ভয়ংকর মরু ডাকাত তাদের পথ আগলে দাঁড়ায়। কখনো

২৩. ইহুদী কন্যা

ইহুদী মেয়েটিকে হারিয়ে হলবের শাসক আল মালাকুস সালেহ উন্মাদ হয়ে গেলেন। সারা রাত চাকর-বাকর ও দাস-দাসীদের নাজেহাল করে ছাড়লেন মেয়েটির জন্য। তারা তন্ন তন্ন করে খুঁজল মহলের প্রতি ইঞ্চি জায়গা। কিন্তু কোথাও তার ছায়াও পেল না। সারা রাত এই হাঙ্গামায় কেউ ঘুমাতে পারল না। না আল মালেকুস সালেহ, না দাস-দাসীরা। আস সালেহের তর্জন গর্জন, রক্তচক্ষু,

২৪. সামনে বৈরুত

বৈরুত। খৃস্টান বাহিনীর দুর্ভেদ্য দুর্গ। পর পর দু’বার মুসলমানদের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর সম্রাট বিলডন এখনেই এসে আস্তানা গেড়েছেন। প্রথম পরাজিত হয়েছিলেন সুলতান তকিউদ্দিনের কাছে। তারপর সুলতান আইয়ুবীর বাহিনীর ধাওয়া খেয়ে প্রান হাতে সেইযে ছুটতে শরু করেছিলেন, বৈরুত পৌঁছার আগ পর্যন্ত আর কোথাও থামার সাহস পাননি।  সুলতান তকিউদ্দিনের হাতে পরাজিত হওয়ার পর ছত্রভঙ্গ বাহিনীকে যতটা

২৭. ছোট বেগম

একদিন বিকাল বেলা। সূর্য্ অস্ত যাওয়ার সামান্য আগে সুলতান আইয়ুবী ফোরাতের কূলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তার সাথে অশ্বারোহী দলের সেনাপতি ও কমান্ডো বাহিনীর সেনাপতি সালেম মিশরী। তারা তাদের সামনে কিছু দূরে সাদা জোব্বা পরা এক লোককে নদীর তীরে দাড়িয়ে থাকতে দেখলেন। লোকটির দু’হাত প্রার্থনার ভঙ্গিতে উপরে তোলা। সুলতান আইয়ুবী সেদিকে গেলেন এবং লোকটির কাছে পৌছে দেখতে

২৮. রক্তস্রোত

সম্রাট আরনাতের রক্ষিতা প্রিন্সেস লিলি ওরফে কুলসুম কথা বলছিল বাকারের সাথে। কুলসুম বাকারকে বললো, ‘আরনাতের সাথে আমি সুখেই ছিলাম। কিন্তু আমার অন্তরে জ্বলছিল প্রতিশোধের আগুন। সে মাঝে মাঝে আমাকে বলতো, ‘সুলতান আইয়ুবীর গোয়েন্দারা ছদ্মবেশে এখানে আসে। তারা আমাদের গোপন তথ্য নিয়ে আবার সুযোগ মত পালিয়ে যায়।’ আরনাত আরও বলেছে, ‘খৃষ্টান ও ইহুদী সুন্দরী মেয়েরা মুসলমানদের

২৯. রিচার্ডের নৌবহর

সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবী শৈশব কালে তাঁর পিতা নাজমুদ্দিন আইয়ুবীর কাছ থেকে বায়তুল মোকাদ্দাসের অবমাননা ও সেখানকার মুসলমানদের ওপর জঘন্য বর্বরতার কাহিনী শুনেছিলেন। তাঁর পিতা এ কাহিনী শুনেছিলেন তাঁর দাদা শাদী আইয়ুবীর কাছ থেকে। শৈশবের শোনা সেই নির্মমতার কাহিনী তাঁর ছোট্ট হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। বয়স বাড়লেও সেই কাহিনীর কথা তিনি কোন দিন ভুলতে পারেননি। বরং

৩০. মহাসময়

জেরুজালেম হাত ছাড়া হওয়ার পর পোপ দ্বিতীয় আরবানুসের আহবানে সুলতান আইয়ুবীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াল সমগ্র খৃষ্টান বিশ্ব। তাদের নেতৃত্ব নিলেন জার্মানীর সম্রাট রিচার্ড। শুরু হলো যুদ্ধের এক মহাযজ্ঞ। প্রথমেই ময়দানে এলেন জার্মানীর সম্রাট ফ্রেডারিক। তিনি দুই লক্ষ সৈন্যের বিশাল বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হলেন সুলতান আইয়ুবীর বিরুদ্ধে। তিনি এত বেশী সৈন্য নিয়ে এলেন যে, এক আইয়ুবীকে

Top